আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই কঠিন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এতটাই ব্যস্ত নিজের দিকে খেয়াল করার সময়ও অনেক সময় পাইনা। আর সেই বেখেয়ালে ওজনটা যায় বেড়ে। অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, স্ট্রেস, অনিদ্রা এর অন্যতম প্রধান কারণ। তাই যখন ওজন কমানোর কথা আসে তখন আমরা একটু টেনশনে পড়ে যাই।
আজকের ব্লগে জানবো দ্রুত ওজন কমানোর কিছু উপায়। জানবো মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়, লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়, প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়, দ্রুত ওজন কমানোর উপায়, প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়, কি খেলে মোটা কমানো যায়, কত ক্যালরি খরচ করলে ১ কেজি ওজন কমে, কিভাবে ডায়েট করলে ওজন কমে, সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন কমে, ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় এবং সবশেষে থাইরয়েড রোগের ওজন কমানোর উপায়।
পেজের সূচিপত্রঃ দ্রুত ওজন কমানোর উপায়- ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়।
- দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
- ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
- প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায়
- মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
- লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
- কি খেলে মোটা কমানো যায়
- ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
- কত ক্যালরি খরচ করলে ১ কেজি ওজন কমে
- কিভাবে ডায়েট করলে ওজন কমে
- থাইরয়েড রোগীর ওজন কমানোর উপায়
- প্রতিদিন ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
দ্রুত ওজন কমানোর উপায়
হরমোনগত কারণ ছাড়াও নানা কারণে অনেক সময় মেয়েদের ওজন কমানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে দেখা যায় ওজন অনেক বেশি বেড়ে যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে শারীরিকভাবে ফিট মেয়েদের তুলনায় যেসব মেয়েদের ওজন বেশি তাদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি ৬৬ শতাংশেরও বেশি। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরী। এই অতিরিক্ত ওজনের কারণে মেয়েরা যে শুধু শারীরিক সমস্যায় ভোগে তাই নয় অনেকে নানা রকম মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারে। ওজন কমানোর জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন।
- অনেকে পানি পান করতে চান না। কিন্তু দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই বেশি করে পানি পান করতে হবে। কিছু খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নেবেন। এতে করে ক্ষুধাও কমে যাবে।
- অনেকেই দুধ চিনি যুক্ত চা/ কফি খেতে পছন্দ করেন। ওজন কমাতে চাইলে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন। গ্রিন টি ও খেতে পারেন। এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ওজন কমাতে সহায়ক।
- মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর আরো একটি উপায় হল ইন্টারমিটেন ফাস্টিং। নিয়ম মেনে ইন্টারমিটেন ফাস্টিং করলে দ্রুত ওজন কমে যাবে।
- কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার কমিয়ে দিতে হবে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। ফল এবং শাকসবজি বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
- খাবার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এক্সারসাইজ করতে হবে। নিয়মিত হাঁটতে পারেন, জিম করতে পারেন, কার্ডিও করতে পারেন। এছাড়া চাইলে সাঁতারও কাটতে পারেন। এতে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি খরচ হয়।
- নিয়মিত ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
- ওজন কমাতে সকাল বেলা খালি পেটে লেবু পানি খেতে পারেন। এছাড়াও সারাদিন ডিটক্স ওয়াটারও খাওয়া যেতে পারে।
- ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানোর উপায়
- ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানো খুব সহজ কথা নয়। এর জন্য খুব কঠিন নিয়ম পালন করতে হবে। চলুন জেনে কিভাবে ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমাবেন।
- প্রথমে এই সাত দিনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হবে। এখানে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম থাকবে প্রোটিন এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকবে। ডায়েট চার্টে প্রতিদিন খাবারে ক্যালরির পরিমাণ ১২০০-১৫০০ ক্যালোরির নিচে রাখার চেষ্টা করুন। চিনি জাতীয় খাবার একেবারেই বাদ দিতে হবে। একবারে বেশি করে না খেয়ে দু তিন ঘন্টা পর পর অল্প অল্প করে খেতে হবে।
- শুধু ডায়েট চার্ট করলেই হবে না সেই সাথে এই সাত দিন এক্সারসাইজেরও একটা রুটিন করে নিতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা এক্সারসাইজ করতে হবে। এই এক ঘন্টায় হাঁটতে পারেন, দৌড়াতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, কার্ডিও করতে পারেন, জিমে যেতে পারেন।
- এ সময় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কোন অবস্থাতেই ডিহাইড্রেটেড হওয়া যাবে না। কোমল পানীয় পান করা যাবে না। দুধ চিনি যুক্ত চা কিংবা কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
- স্ট্রেস থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ স্ট্রেস বাড়লে ওজনও বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত সাত আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
- এছাড়াও মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ঔষধ হল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এর OlistatTM
তবে খুব দ্রুত ওজন কমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণও হতে পারে। তাই কোন ক্রাশ ডায়েট করার আগে কোন নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন।
লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর জন্য অনেকের কাছেই একটি পরিচিত উপায় হলো সকালে লেবু পানি পান করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা অনেকেই চা বা কফি খেয়ে থাকি। তবে ঘুম থেকে উঠেই চা বা কফি খাওয়া ঠিক নয়। এটি শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি করে। তার পরিবর্তে হালকা কুসুম গরম পানিতে দু চামচ লেবুর রস ও কিছুটা মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। পানি লেবু এবং মধু এই তিনটাই শরীরের জন্য খুবই উপকারী। খালি পেটে লেবু পানি পান করলে ক্ষুধা কম লাগে। এটি বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ায়। ফলে সারাদিনই আপনি যা ই খান না কেন তা সহজে হজম হয়ে যাবে। তাই দেখা যায় সারাদিনে খাবার কম খাওয়া হয়। এতে করে শরীরে কম ক্যালরি প্রবেশ করে এবং ওজন কমানো সহজ হয়। এছাড়া ভারি কোন খাওয়া-দাওয়ার পরও কোমল পানিয়র পরিবর্তে খেতে পারেন লেবু পানি। এতে করে তৃষ্ণাও মিটবে সেই সাথে শরীরে কম ক্যালোরি প্রবেশ করবে।
প্রতিদিন সকালে নাস্তা করার ৩০ মিনিট আগে এই লেবু পানি পান করতে পারেন। সাথে মধু মিশিয়ে নিলে স্বাদ যেমন বাড়বে সেই সাথে পুষ্টিগুণও বাড়বে এবং ক্ষুধাও কম লাগবে। এই লেবু পানির সাথে চাইলে কিছুটা পুদিনা পাতাও মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে করে স্বাদ যেমন বাড়বে সেই সাথে পুদিনা পাতা হজমেও সহায়তা করবে। আবার চাইলে এই লেবু পানির সাথে কিছুটা আদা কুচিও মিশিয়ে নিতে পারেন। আদা হজমের জন্য বেশ উপকারী সেই সাথে অ্যাসিডিটি সমস্যায়ও সহায়তা করবে। তবে লেবু পানি খেলে অনেকের অ্যাসিডিটি হতে পারে। অ্যাসিডিটি হলে লেবু পানি খাওয়া বাদ দিতে হবে। আর লেবুতে যেহেতু ভিটামিন সি আছে তাই এটা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। সেজন্য লেবু পানি খাওয়ার পর ভালোভাবে কুলি করে নিতে হবে।
তবে লেবু পানি খেলে যে ওজন ধুপ করে কমে যাবে তেমন কিন্তু নয়। এটি আপনার ওজন কমানোর একটি পদক্ষেপ মাত্র। ওজন কমাতে অবশ্যই পুষ্টিকর ও কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। সেই সাথে নিয়মিত ব্যায়ামও করতে হবে।
আরও পরুনঃ কিডনি রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ
ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় ব্যায়াম করা বা জিমে যাওয়া অনেক ক্ষেত্রেই
সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু অন্যদিকে ওজন বেড়ে যাচ্ছে হুড়মুড় করে। লাগাম ধরতে হবে
ওজনের। কিন্তু এই জিমে গিয়ে বা ব্যায়াম না করে ওজন কমবে কি করে? টেনশন নেই, জিমে
না গিয়েও ওজন কমাতে পারবেন। মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়।
- প্রথমেই খাবার খাওয়ার সময় ক্যালরি হিসাব করুন। চাইলে প্রতিদিন
কি কি খাবার খাচ্ছেন সেটা ডায়েরীতে লিখে রাখুন। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন কতটা পরিমাণ
ক্যালরি গ্রহণ করা হয়েছে। - খাবার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ছোট প্লেটে খাবার খেতে পারেন।
অপেক্ষাকৃত বড় প্লেতে খাবার খেলে না চাইলেও অনেক বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়। আর
প্লেট যদি ছোট হয় তাহলে কম খাবার নিলেও মনে হবে বেশি খাবার নেয়া হয়েছে। এতে করে
সাইকোলজিক্যালি বেশি খাবার খাচ্ছেন বলেই মনে হবে। - ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খান। এতে করে পেট অনেকক্ষণ ভরা
থাকবে। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খেয়ে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খান। সেই
সাথে রাখতে পারেন সবজি। তবে কি পরিমান কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন এবং সবজি খাবেন সেটা
নির্ধারণ করার জন্য একটা সহজ উপায় বেছে নিতে পারেন। আপনি যে প্লেটে খাবার খান তার
অর্ধেক পূর্ণ করুন সবজি বা সালাদ দিয়ে। বাকি অর্ধেক প্লেটকে দু ভাগে ভাগ করুন। এবার
এর একভাগ পূর্ণ করুন কার্বোহাইড্রেট দিয়ে আর অন্য ভাগ প্রোটিন দিয়ে। এতে করে সহজেই
আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কোন ধরনের খাবার কি পরিমানে খাচ্ছেন। সেই সাথে কার্বোহাইড্রেট
গ্রহণের মাত্রাও কমে যাবে। - প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস
পানি খেয়ে নিন। এতে করে ক্ষুধা কমবে সে সাথে খাবারও পরিমানে কম খেতে পারবেন। - কোমল পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেকোনো ধরনের শরবত
কিংবা জুস না খেয়ে ফল খেতে পারেন। কারণ জুসে কোনো পাল্প না থাকায় এতে কোনো ফাইবার
থাকে না। এটা পেটেও বেশিক্ষণ থাকে না। তাই জুসের পরিবর্তে দেশি ফল খেতে পারেন। ওজন
কমাতে চাইলে দুধ চিনি দিয়ে চা বা কফির পরিবর্তে খেতে পারেন গ্রিন টি। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
মেদ কমাতে সহায়তা করবে। - অনেকেরই খাবারের পর মিষ্টি জাতীয় কিছু খাওয়ার অভ্যাস থাকে।
ব্যায়াম ছাড়া ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে চিনি কম খেতে হবে। হঠাৎ করেই চিনি বাদ
দিয়ে দেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। তাই চিনির পরিবর্তে স্পিরুলিনা খেতে পারেন। - চাইলে ইন্টারমিটেন ফাস্টিং করতে পারেন। এ প্রক্রিয়ায় দিনে
কমপক্ষে ১৬ ঘন্টা না খেয়ে থাকতে হবে। বাকি ৮ ঘণ্টায় ক্যালোরি মেপে পরিমাণ মতো খাবার
খেতে হবে। এই ষোলো ঘন্টায় পানি খেতে পারবেন বা কম ক্যালরিযুক্ত পানীয় যেমন গ্রিন
টি বা ব্ল্যাক কফি খাওয়া যেতে পারে। - অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার আরো একটি কারণ হলো সময় মত খাবার
না খাওয়া। তাই খাবারের সময়ের উল্টাপাল্টা না করে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে খাবার
খান। একসাথে অনেক কিছু না খেয়ে কিছুক্ষণ পরপর অল্প অল্প করে খান।
থাইরয়েড রোগীর ওজন কমানোর উপায়
থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। এই ওজন ঝরাতে
অনেকেরই অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। সহজ কিছু টিপস বলে দিচ্ছি যা মেনে চললে থাইরয়েড থাকলে
ওজন দ্রুত কমবে।
- আয়োডিনযুক্ত খাবার বেশি করে খান। থাইরয়েড থাকলে শরীরে আয়োডিনের
পরিমাণ বাড়লে ওজন তাড়াতাড়ি ঝরে। আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন-সামুদ্রিক মাছ, দুগ্ধজাত
খাবার, ডিম খেতে পারেন। - থাইরয়েড থাকলে ওজন কমাতে এক্সারসাইজ করতে পারেন নিয়মিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যোগ ব্যায়াম কিংবা অ্যারোবিকও করতে পারেন। - থাইরয়েডে আক্রান্ত ব্যক্তির ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই স্ট্রেস
কমাতে হবে। স্ট্রেস থাইরয়েড ফাংশনকে প্রভাবিত করে। এতে করে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে
যায়। যার ফলে ওজন দ্রুত বাড়ে। - খাদ্য তালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। চিনি জাতীয়
খাবার কমিয়ে দিন। - নিয়মিত ৮ ঘন্টা ঘুমান।
- সবচেয়ে ভালো হয় যদি কোন নিউট্রেশনিস্টের সহায়তা নিয়ে ডায়েট
চার্ট তৈরি করে নিতে পারেন। তাহলে নিউট্রিশনিস থাইরয়েডের অবস্থা বুঝে আপনাকে ডায়েট
চার্ট তৈরি করে দেবেন।
পরিশেষে বলবো, দ্রুত ওজন না কমিয়ে বরং শুরু থেকে ওজনটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে বেশি ভালো। তাই দৈনন্দিন জীবনে ছোট ছোট পরিবর্তন আনার মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে ওজনটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার। আর প্রয়োজন হলে নিউট্রিশনিষ্ট তো আছেই ডায়েট চার্ট তৈরি করে দেয়ার জন্য। তবে কোন ক্রাশ ডায়েট ফলো না করে সময় নিয়ে আস্তে আস্তে ওজন কমানোটাই সবচেয়ে ভালো। তাই সুস্থ থাকতে ওজনটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন, সুস্থ থাকুন।